পটুয়াখালী বাউফল উপজেলায় ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি তিন সন্তানের জননী।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য নিলুফা বেগমের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ওই নারীর মুখ চেপে ধরে নির্জন বিলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবরধূকে বিলের মধ্যে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলাল সিকদার ও নিলুফা বেগম ওই গৃহবধূকে থানায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এছাড়াও আইনানুগ সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলেছি।’
বাউফল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) আল মামুন বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দেশের ধর্ষণ পরিস্থিতি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস্) সম্প্রতি জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে সারাদেশে ১২ জন গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে হত্যা এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্য, ধর্ষণের শিকার ১২ জন, শারীরিক আঘাত ও নিপীড়নের শিকার ১২ জন এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
এদিকে করোনাকালে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও শিশুদের জনসমাগমের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে এ চিত্র তুলে ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয় বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক রাফেজা শাহীন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
পাঁচটি জাতীয় বাংলা দৈনিক এবং তিনটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত বছর ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ শিশুকে।